মাত্র তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। গত এক বছরে এই ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির হার ১৫১ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুনে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়কালেও ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা বা ৫৩ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, শিল্প খাতের দুরবস্থা, উদ্যোক্তাদের দেশত্যাগ কিংবা কারাবরণ এবং ব্যাংকের দুর্বল ঋণ আদায় ব্যবস্থাই ঋণ প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। তখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঋণ শ্রেণিকরণ হতো। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ঋণ পুনঃতপশিল সুবিধা চালু হয় এবং পরবর্তীতে নানা ছাড়ে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আড়াল করা হয়।
বর্তমান গভর্নরের আমলে খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। প্রভিশন ঘাটতি রেখে এখন কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারছে না। ইতোমধ্যে ৩৬টি তালিকাভুক্ত ব্যাংকের মধ্যে ২০টি ব্যাংক চলতি বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি। এমনকি আগামী বছর কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি হলে সেখানেও লভ্যাংশ দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।