র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মিটফোর্ড এলাকার এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এ মামলার ছায়া তদন্ত চলছে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, এখনও বিস্তারিত কিছু বলার সময় আসেনি, তবে বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। সেনাবাহিনী-পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাও আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় চাঁদাবাজি কিংবা ব্যবসায়িক বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে, এটা প্রাথমিক পর্যায়ের ধারণা।
র্যাব প্রধান বলেন, আমাদের কাছে অপরাধীর পরিচয় শুধু অপরাধী। সে যে দলেরই হোক, যত বড় প্রভাবশালী হোক, কোনো ছাড় নেই। আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, ছিনতাই-চাঁদাবাজির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব মাঠে আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা।
এ ঘটনায় নিহতের বোন ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।