জুলাই কেবল আবেগে ভাসার মাস নয় বরং এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ের ডাক ছিলো বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা এসময় আরো বলেন, এ অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে আমরা গত বছরের একটি প্রতীকী দিনকে আবার পুনরুজ্জীবিত করবো। এছাড়া, যে লক্ষ্যে আমাদের তরুণ ছাত্ররা, জনতা, রিকশাচালক, শ্রমিক ও কিশোররা শহীদ হয়েছিল, আহত হয়েছিল, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা নতুন করে শপথ নেবো। কোনো স্বৈরাচার যেন কোথাও মাথাচাড়া না দিতে পারে সেজন্য অনুষ্ঠানটি আমরা প্রতি বছর করবো।
তিনি আরও বলেন, কর্মসূচির মূল লক্ষ্য জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার দাবি তোলা এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের সুযোগ যাতে হারিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করা। যে লক্ষ্যে ছাত্রজনতা শহীদ হয়েছেন, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের আবার শপথ নিতে হবে। প্রতিবছর যেন জুলাই উদযাপন করা হয়, যাতে স্বৈরাচার কোনোভাবে মাথাচাড়া দিতে না পারে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করা হয়। একইসঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় ‘জুলাই ক্যালেন্ডার’। এ ছাড়া, নিহত শহীদদের স্মরণে দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে (মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা) বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
একই দিনে শুরু হয়েছে ‘জুলাই খুনিদের’ বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর অভিযান, যা চলবে ১ আগস্ট পর্যন্ত। এ ছাড়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে একটি শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী, জুলাই মাসজুড়ে আরো কয়েকটি তারিখে কর্মসূচি পালিত হবে; যথা ৫ জুলাই, ৭ জুলাই এবং ১৪ জুলাই। উদযাপনের চূড়ান্ত দিন ৫ আগস্টকে (চিহ্নিত ‘৩৬ জুলাই’ নামে) কেন্দ্র করে হবে বিশেষ আয়োজন। সেদিন স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, শহীদ পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, বিজয় মিছিল, এয়ার শো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে।