ইউজিসি শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে ও শর্ত সাপেক্ষে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্তহীনতায় এ ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
রোববার (১৩ জুন) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত উদ্ভাবন ও সেবা সহজীকরণ বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাস্তবতা মেনে ইউজিসির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাঠদান ও পরীক্ষা নিলে এই সংকটের মাঝেও এগিয়ে যেতে পারতো।
নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সহযোগিতা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে মনে করেন প্রফেসর আলমগীর। তিনি বলেন, উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে নিতে হবে। সৃজনশীলতা ছাড়া উদ্ভাবন সম্ভব নয় এবং উদ্ভাবন করতে জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে।
ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক প্রফেসর আলমগীর বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ পরিণত করতে হলে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভাবন বৃদ্ধি ও সেবা সহজ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির যুগে বিশ্ব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুগের চাহিদা পূরণে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। এই পরিবর্তন ও চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে না পারলে, জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও উদ্ভাবনের ফোকাল পয়েন্ট রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় কমিশনের আইএমসিটি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ও ইনোভেশন অফিসার মাকছুদুর রহমান ভূইয়া যুক্ত ছিলেন। কর্মশালায় ইউজিসির ১৯ জন সিনিয়র সহকারী পরিচালক এবং সমমানের কর্মকর্তারা অংশ নেন।