ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, এসব ড্রোন ও মিসাইলের মধ্যে ২৪৯টি ভূপাতিত করা হয়েছে। আর ‘নিখোঁজ’ হয়েছে ২২৬টি। ধারণা করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক জ্যামার দিয়ে শত শত ড্রোন অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছেন, যেখানেই জীবনের চিহ্ন আছে সেখানেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিনি বলেছেন, তিন বছর ধরে চলা এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার যে আশা তৈরি হয়েছিল, এ হামলার মাধ্যমে সেটি শেষ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বাড়ি ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এই হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ইউক্রেন আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। এরমাধ্যমে পশ্চিমাদের থেকে পাওয়া ইউক্রেনের তিনটি এফ-১৬ ধ্বংস হলো। এই বিমানটির পাইলটও নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
যতক্ষণ পর্যন্ত রাশিয়ার হামলার সক্ষমতা থাকবে ততক্ষণ তারা হামলা চালাতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, “বিশ্ববাসী শান্তির আহ্বান জানালেও, পুতিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। এই যুদ্ধ থামাতে হবে। আগ্রাসনকারীদের ওপর চাপ প্রয়োগ অত্যাবশ্যক। সঙ্গে নিরাপত্তাও প্রয়োজন। নিরাপত্তা প্রয়োজন ব্যালিস্টিক ও অন্যান্য মিসাইল, ড্রোন এবং সন্ত্রাস থেকে। ইউক্রেনকে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। এটিই জীবন সবচেয়ে বেশি রক্ষা করে। আমাদের মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। যা আমরা কিনতে প্রস্তুত।”
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ইউরি ইনহাত জানিয়েছেন, গতকালের হামলাটি তাদের দেশের ওপর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা ছিল। এতে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।