বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ‘বি কোম্পানি’র প্রধান গ্রেনেড বাবুর দুই প্রধান সহযোগী কাউয়া মিরাজ এবং সাব্বির। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে রূপসা থানাধীন আইচগাতি ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বাড়িতে গোলাগুলি হয়। ঘটনাস্থলেই সাব্বির নিহত হন। গুলিবিদ্ধ কাউয়া মিরাজ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নার্গিস মেমোরিয়াল নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের অপর সহযোগী সাদ্দাম মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং পরে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি খালি কার্টিজ, চারটি জীবিত কার্টিজ, কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদকসেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের পাশে গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তু পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, একই রাতে নগরীর হরিণটানা এলাকায় জবাই করে বাবলু দত্ত (৫০) নামের এক বালু ও জমির ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রাত ১০টার দিকে রাজবন্ধ দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবলু দত্ত ওই এলাকার অমূল্য দত্তের ছেলে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার বলেন, ধারালো ছুরি দিয়ে বাবলু দত্তকে হত্যা করা হয়েছে। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে, একই রাতে দুটি হত্যাকাণ্ডে নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।