আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্যের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
এতে দেখা গেছে, ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১০ লাখ ৬ হাজার ২৭২ জন। অনুপস্থিতির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
ঢাকা বোর্ডের অধীনে ২৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন। অংশগ্রহণ করেছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৩৪১ জন। অনুপস্থিত ৩ হাজার ৩২৬ জন (অনুপস্থিতির হার ১.২৬ শতাংশ)। ঢাকা বোর্ড থেকে একজন পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছে।
রাজশাহী বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন, অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৯১ জন, অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৮৬৭ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ১ জন। কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতি ছিল তুলনামূলক বেশি—২ হাজার ৪২৮ জন। অংশগ্রহণ করেছে ৮৭ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম বোর্ডে অনুপস্থিত ১ হাজার ২৩০ জন, যশোরে ১ হাজার ৬৩৮ জন, সিলেটে ৮২৪ জন, বরিশালে ১ হাজার ২৯ জন, দিনাজপুরে ১ হাজার ২৯১ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৮০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এসব বোর্ডে একজন করে পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে কুরআন মাজিদ (বিষয় কোড: ২০১) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৮০ হাজার ১২১ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৪ হাজার ৩১৭ জন, অনুপস্থিত ছিলেন ৪ হাজার ১৯৬ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ২৪ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি ছিল মাদ্রাসা বোর্ডে। যার পরিমাণ ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৯৭ হাজার ৮৭৪ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯৮ হাজার ৯২৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৫০ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ১৩ জন পরীক্ষার্থী।
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রের তথ্য এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডের অধীনে একটি কেন্দ্রে কোনো পরীক্ষার্থী ছিল না বলেও জানানো হয়েছে।