অনলাইনে খাবারের ব্যবসা ও ডেলিভারির কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে বর্তমানে তারা স্বেচ্ছাচারীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এতে করে তারা হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতকে ঝুঁকিতে ফেলছে। শনিবার (১২ জুন) বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এক বার্তায় এ অভিযোগ করা হয়।
হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের আঘাতে যেসব সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ বেশি হয়েছে। এসব বিবেচনায় আসন্ন বাজেটে ভ্যাট ও কমিশন কমানের বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
চার ও পাঁচ তারকামানের হোটেল-রেস্তোরাঁর ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ, ফাইন ডাইনিং অর্থাৎ যে রেস্টুরেন্টে বিদেশি ফুড বিক্রি হয় সেখানে ভ্যাটের হার হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ শতাংশ, কর্মজীবী, শ্রমজীবী, দিনমজুরদের জন্য নিম্ন ও মাঝারিমানের রেস্তোঁরা (বাংলা খাবার) ও স্ট্রিট ফুডের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার হবে সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ শতাংশ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া, শিল্পকারখানার ক্যান্টিন/ক্যাফেটেরিয়া ও হোস্টেলের খাবারের ওপর ভ্যাটের হার ২ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি রেস্তোরাঁ খাতে স্থান/স্থাপনার ভাড়ার ভ্যাট সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া এখন পর্যন্ত যেসব হোটেল-রেস্টুরেন্টে ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হয়নি যেসব প্রতিষ্ঠানে একযোগে তা চালুর দাবি জানানো হয়।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ভ্যাট আদায়ের নামে হয়রানি বন্ধ ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের অসৌজন্য ও হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধের দাবি জানান হোটেল ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ভ্যাট আইন থেকে সব ধরনের জরিমানা ও অন্যান্য সারচার্জ বাতিল দাবি করা হয়। সম্পূরক কর ১০ শতাংশ বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
ই-কমার্স প্রসঙ্গে হোটেল রেস্তোঁরা মালিকরা বলেন, চালু করা টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির ক্ষেত্রে বহিঃবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমিশন করা ও একটি সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা। বর্তমানে তারা স্বেচ্ছাচারীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তা এই হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতকে আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ৬ মাসের প্রণোদনা দিতে হবে বেতন হিসেবে তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। অথবা চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মচারীদের করোনাকালীন মাসিক খাদ্য সহায়তা দিতে হবে।
এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতকে চলমান রাখতে এসএমই খাত থেকে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ হারে জামানতবিহীন ১০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া, পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতে লোন অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানানো হয়।