পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম ১৫ দিনে খরচ হয়েছে মাত্র সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। আর মে মাসে খরচ হয়েছে ১৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, আগের বছরের মে মাসের তুলনায় যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা কম। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, শেষ সময়ে অতিরিক্ত কাজের চাপ ও অর্থ বরাদ্দ সীমাবদ্ধতার কারণে জুন মাসে এডিপির পুরো অর্থ খরচ সম্ভব হবে না।
কম বাস্তবায়নের পেছনে বিল পরিশোধে বিলম্ব, প্রকল্প মেয়াদ বারবার বাড়ানো এবং বরাদ্দ থাকলেও প্রকৃত চাহিদার ঘাটতি বড় কারণ বলে মনে করছেন আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, শুধু বিল পরিশোধের কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ছে, যার বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন।
পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন আল রশিদ মনে করেন, শেষ সময়ে তাড়াহুড়ো করে ব্যয় বাড়ালে দুর্নীতি ও অপচয়ের ঝুঁকি তৈরি হবে। তার পরামর্শ, বিল যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে অর্থ ছাড় করা উচিত।
চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে চাহিদার অভাবে। তবুও বরাদ্দের তুলনায় বাস্তবায়ন কম হওয়ার কারণে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি অব্যবহৃত থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।