ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে লাথি মেরে স্ট্যাম্প ভাঙায় সাকিব আল হাসানকে ৩ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জালাল ইউনূস এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। জালাল ইউনূস বলেন, অখেলোয়ারসুলভ আচরণের জন্য সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সাকিব আল হাসানের ঘনিষ্টসূত্রে জানা গেছে, তিনি শাস্তি মেনে নিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে দুই দফা স্ট্যাম্প ভাঙেন মোহামেডানের সাকিব।
মিরপুরের শের-এ-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী বনাম মোহামেডানের ম্যাচের ষষ্ঠ ওভার করতে এসে শেষ বলে আবাহনীর ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর আবেদন জানান সাকিব। কিন্তু আম্পায়ার ‘নট আউট’ বলার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যাম্পে লাথি মারেন সাকিব।
পরের ওভারেই বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করলে সাকিব আবারও স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন। এরপর আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায় তাকে। এখানেই শেষ নয়। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে গ্যালারির দিকে তাকিয়ে অশোভন ভঙ্গিও করতে দেখা যায় সাকিবকে। এমন সময় আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদও ড্রেসিংরুম ছেড়ে বেরিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন সাকিবের দিকে। তেড়ে যেতে দেখা যায় সাকিবকেও। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে দুজনকে সরিয়ে নেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। পরে আবাহনীর ড্রেসিংরুম গিয়ে মাহমুদের কাছে ক্ষমা চান সাকিব।
মাঠের অসদাচরণের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। লিখেছেন- ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, নিজের মেজাজ হারানোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সেই সঙ্গে ম্যাচের আবহ নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। বিশেষ করে যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখছেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে দুর্ভাগ্যবশত এ রকম হয়ে যায়। এই মানবিক ভুলের কারণে আমি দল, ম্যানেজমেন্ট ও টুর্নামেন্টের কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আর এমনটা হবে না। ধন্যবাদ, সবার জন্য ভালোবাসা।’ কদিন আগেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে ক্ষমা চেয়েছিলেন সাকিব।