সাতক্ষীরায় আজ শনিবার থেকে দ্বিতীয় দফার সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনে খানিকটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধবিষয়ক কমিটির বৈঠকে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ৫ জুন ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের মেয়াদ শেষ হয় গতকাল শুক্রবার।
এদিকে, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাতক্ষীরা শহরের মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে। বাঁশ ও চেয়ার-টেবিল ফেলে যানবাহন ও বিনা কারণে মানুষের চলাচলে বাধা দিচ্ছে তারা। তবে ছাড় রয়েছে জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের জন্য। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনা ও যশোর থেকে সাতক্ষীরায় প্রবেশের পথ।
এদিকে, সাতক্ষীরায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও শয্যা সংকটে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে জেলায় ৬৮৩ জন কোভিড রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩৫ জন ও সদর হাসপাতালে ২৮ জন চিকিৎসাধীন। অন্য রোগীরা প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেলের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য আটটি আইসোলেশন ও ১৩৫টি শয্যা ছাড়াও আট শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রয়েছে। এ ছাড়া সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে শয্যা রয়েছে মাত্র ৩৫টি। আরও শয্যা ও জনবল না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১৫টি শয্যা স্থাপনের কাজ চলছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
এদিকে, আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। সংক্রমণের হার ৩৬ দশমিক ১৭।