কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া থেকে সরে আসতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে এখনও এনিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পায়নি সংস্থাটি। কর্মকর্তারা জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে অর্থ অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিভিন্ন মহলের কঠোর আপত্তি সত্ত্বেও বারবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পাচ্ছেন অবৈধ সম্পদের মালিকরা। কখনো বিশেষভাবে আবার কখনও কর কিছুটা বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এ সুযোগ। সেই সঙ্গে দেয়া হয় সাধারণ ক্ষমাও।
দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার এমন বিতর্কিত ব্যবস্থা থেকে বের হতে পারেনি জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও। ভবন ও ফ্ল্যাটের অপ্রদর্শিত বিনিয়োগ বৈধ করার সুযোগ রেখে তার প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন অর্থ উপদেষ্টা। তবে সাধারণ ক্ষমা কিছুটা শিথিল ও কর হার বাড়ানো হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখেও পড়েন তিনি।
সমালোচনার মুখে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিলেও এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি ড. সালেহ উদ্দিন।
এনবিআরের করনীতি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, তারাও কালো টাকা সাদা করা সুযোগ বাতিলের পক্ষে। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেলেনি। ফলে ফাইলও তৈরি হয়নি। আর কালো টাকা সাদা করে নিয়ে টিআইবি প্রধান বলেন এমন কথা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করা নাগরিক সমাজ সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, কর নিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে। সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে অপরাধকে।
টিআইবি’র (টিআইবি) প্রধান নির্বাহী পরিচালক হলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা আশা করবো এর থেকে সরকার সরের আসবে।
তবে এনবিআর কর্মকর্তাদের ধারনা, এবার যে হারে কর বাড়ানো হয়েছে, বিধান বাতিল না হলেও, কেউ এর সুযোগ নেবেন না।