শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল।
রোববার (২৫ মে) ঢাকার গুলশান ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, ১৯৭১ সালে খুঁজে খুঁজে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে আর ২০২৫ সালে শুধু শিল্প নয়, শিল্পোদ্যোক্তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। এটাকে ষড়যন্ত্র মনে করি।
তিনি বলেন, শিল্পবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিল্পকারখানা গলা টিপে মেরে ফেলা হচ্ছে। শিল্পে গ্যাস নেই, একের পর এক কারখানা বন্ধ হচ্ছে। গ্যাস সংকটে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। চলতি মূলধন সংকুচিত হয়েছে।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, উপদেষ্টারা মনে হয় উটপাখির মতো বালুর মধ্য মাথা গুঁজে আছেন, কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, মানুষ রাস্তায় নামবে।
বিটিএমএ সহসভাপতি সালেউদ জামান খান বলেন, সরকার বলে দিচ্ছে ৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। না হলে অ্যাকশনে যাবে। গত ৫ থেকে ৬ মাস ধরে শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। গ্যাস কম্পানিগুলো গ্যাস সাপ্লাই না করে বিল নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা গ্যাস না পেয়ে বিদ্যুৎ লাইন, আরইবির লাইন আমি সংস্থান করলাম। সেখানে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে ৭ ঘণ্টা। একটা ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন ৬ থেকে ৫ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। তাহলে কীভাবে বাংলাদেশের শিল্প ও মালিকরা টিকে থাকবেন?
সালেউদ জামান খান বলেন, ব্যাংকের সুদের হার আজকে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ। যে জায়গায় আগে আমরা ২ থেকে ৩ শতাংশ দিতাম। তাহলে কীভাবে একটা শিল্প মালিক বাঁচবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাবে।