মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা আসা এসব নারী, পুরুষ ও শিশুদের নেওয়া হয়েছে মুজিবনগর থানা পুলিশের হেফাজতে।
রোববার (২৫ মে) ভোরে সীমান্তের কাঁটাতারের গেট খুলে তাদেরকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
ভারত থেকে আসা কয়েকজন দাবি করেছেন, তারা বাংলাদেশি। অবৈধভাবে তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে যায়। কিছুদিন আগে ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আজ ভোরে বিএসএফ তাদেরকে নিয়ে আসে মুজিবনগরে সোনাপুর সীমান্তে। সেখানে কাঁটাতারের বেড়ার গেট খুলে জোরপূর্বক বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করে।
সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কেগারগঞ্জ বাজারে বাস কাউন্টারে যাবে এসব মানুষ। সেখান থেকে মুজিবনগর থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
কুড়িগ্রামের মাইনুল ইসলাম দাবি করা এক যুবক জানান, দশ বছর আগে সে কাজের উদ্দেশ্যে দিল্লি যায়। সেখানে ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। কয়েকদিন আগে সেখানে পুলিশের অভিযানে বাংলাদেশি হিসেবে আটক করে একটি ক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশি আরও অনেকে ছিল। গতকাল তাদেরকে বিএসএফের পিকআপভ্যানে সীমান্তের দিকে আনা হয়। সারারাত তারা গাড়িতেই ছিলেন। ভোরে তাদেরকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফ।
মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ১৯ জনই বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তবে তাদের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বাংলাদেশি কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। নীলফামারী ও কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে তারা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। তাদেরও দেওয়া পরিচয় যাচাই করার পর তাদের বিষয়ে আইনানুগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।