গেলো ১২ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত ৮২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফেরত গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। চলতি সপ্তাহে আরও ৩০ থেকে ৪০ জন রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। স্বদেশে ফিরে গিয়ে সেখানে তারা কৃষি কাজ ও শিকারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করবেন।
ইউএনএইচসিআর ২২ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। প্রত্যাবাসন, ভরণ পোষণসহ যাবতীয় ইস্যু সমন্বয় করে থাকে সংস্থাটি। ১২ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের যাবতীয় পরিস্থিতি নিয়ে আপডেট জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফেরত গেছেন। ফেরত যাওয়ার জন্য আরও প্রায় ৪০ জন প্রস্তুত আছেন। রাখাইনের সংঘাত পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কারণে এই প্রত্যাবাসনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন বা বুথিডং শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য যুদ্ধ করছে আরাকান আর্মি। জান্তা সরকারকে হটিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্মভূমির দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন করে এক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে সরকারি হিসাবে।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, একই সময়ই ১০ হাজার ২৯১ জনকে জোর করে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ । চলতি সপ্তাহেও ১০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি পায়নি।
এদিকে রোহিঙ্গারা নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তবে সেই সংখ্যা খুব কম বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটির দাবি, রোহিঙ্গারা কক্সবাজার ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাশ কাটিয়ে বের হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, সমুদ্রে, মিয়ানমারে নানাভাবে রোহিঙ্গাদের জীবিত বা মৃত উদ্ধার তা প্রমাণ করে।
এদিকে আরাকান আর্মির রোহিঙ্গাদের শত্রুর চোখে দেখার মানসিকতায় কিঞ্চিৎ বদল এসেছে জানিয়ে ইউএনএইচসিআর বলছে, সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার, আরাকান আর্মি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একযোগে কাজ করছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সাল থেকে ১৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।