বাংলাদেশি দুই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীসহ ছয় জন চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় আলাদা দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এক দম্পতির দেড় বছরের একমাত্র শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে দেশটি নর্থ ওয়েস্টের মাডিবোগো এলাকায় ব্যবসা করতেন বাংলাদেশি হাফিজুর রহমান। বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি এবং তার আফ্রিকান স্ত্রী ও দুই সন্তান অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।
বুধবার (৯ জুন) দুপুরে খবর পেয়ে বাসার দরজা ভেঙে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের ফরেনসিক বিভাগ মরদেহগুলো তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। শুক্রবার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের কথা রয়েছে। উদ্ধারকারীদের ধারণা, হিটার থেকে অগ্নিকাণ্ডের তীব্র ধোঁয়ায় শ্বাসরোধে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত শনিবার (৫ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকায় কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশের পিটারমারাইটজবার্গ এলাকার বাংলাদেশি সুজন মীর তার স্ত্রী ও সন্তানসহ আরেক অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৬ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় সুজন মারা যান। এর কিছু সময় পর তার আফ্রিকান স্ত্রীও মারা যান। তাদের একমাত্র শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, মৃত্যুর পর সুজন মীরকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি ও মুসলিম কমিউনিটির সহযোগিতায় দাফন করা হয়েছে। কিন্তু সুজনের স্ত্রী ইসলাম গ্রহণ করেছে কি-না নিশ্চিত করতে পারেনি তার ঘনিষ্ঠজনেরা। কোন ধর্ম অনুসারে তাকে সমাহিত করা হবে এ নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাই সুজনের স্ত্রীর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। সুজন মীরের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।