বুধবার (২১ মে) নির্বাচন ভবনে কমিশনের পঞ্চম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
প্রচার ইসির তত্ত্বাবধানে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটাও অনুমোদন হয়েছে। নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে। চূড়ান্ত করতে আরেকটু সময় লাগবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন, স্থান পরিবর্তন ও পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৫’ শীর্ষক এই খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তৈরি করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, যা যাবে বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অনুমোদনের জন্য। পূর্বের নীতিমালার মতো আর কোনো জেলা কমিটি বা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। ফলে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের পুরো প্রক্রিয়াটি এককভাবে পরিচালিত হবে ইসির নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামোর মাধ্যমে। ২০০৮ সালের পর থেকে নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি গঠন করে। এ কমিটির মাধ্যমেই ভোটকেন্দ্র স্থান নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। তবে এই কমিটিগুলোর নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নতুন নীতিমালায় সেই কাঠামো বাতিল করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রার্থীদের আচরণবিধিতে একগুচ্ছ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নির্বাচনী হলফনামায় ভুল তথ্য প্রদান, ঋণখেলাপি কিংবা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে বাতিল করা হতে পারে সংসদ সদস্যদের পদ।