শনিবার (১৭মে) আয়কর ক্যাডারের সাধারণ সদস্যদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তারা বলছেন, বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্ব বিসিএস (কর) ক্যাডারের সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে কর ক্যাডারের প্রায় সব সদস্য মনে করেন। এ কারণে অ্যাসোসিয়েশন তার সদস্যদের নিকট গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। ইতোমধ্যে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্য কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সাধারণ সদস্যরা মনে করে, তথাকথিত অনির্বাচিত অ্যাসোসিয়েশন তার কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। সে কারণে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সদস্যগণ অনির্বাচিত নির্বাহী কমিটিকে অবৈধ ও বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করছে। বিলুপ্ত কমিটির কেউ যেন অ্যাসোসিয়েশনের নামে কোনো সভা আহবান না করে এবং মিডিয়া বা অন্য কোথাও অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে কোনো বক্তব্য না দেয়। অ্যাসোসিয়েশনের পদ ব্যবহার করে দেওয়া কারও বক্তব্য বিসিএস (কর) ক্যাডারদের পক্ষ হতে কোনো বক্তব্য নয়, বরং তা ব্যক্তিগত বক্তব্য হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর দায়ভার ওই ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে বহন করবে।
তারা আরও বলছেন, এনবিআর বিলুপ্ত করে জারী করা অধ্যাদেশ বাতিলে কাস্টমস সার্ভিসের যৌথভাবে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আমরা আশা করি শিগগিরই যৌক্তিক দাবি পূরণ হবে। অধ্যাদেশ বাতিলের পর আমরা প্রাণের অ্যাসোসিয়েশনকে নতুন ভাবে গড়ে তুলবো।
প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক উপকর কমিশনার নাজমা পারভিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উপকর কমিশনার রইসুন নেসা, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক উপকর কমিশনার মো. ফিরোজ কবির, সহ-গবেষণা সম্পাদক উপকর কমিশনার মো. ফারুক হোসেন, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক উপকর কমিশনার মো. আবদুল্লাহ ইউসুফ, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক উপকর কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান। নির্বাহী সদস্য উপকর কমিশনার মো. নেফাউল ইসলাম সরকার, মাফরোজ সুলতানা ইমা, মোছা. ফাতেমা খাতুন, মো. জোনায়েদ হোসেন, তানজিনা রহমান, সহকারী কর কমিশনার তামজিদ ইয়াসমিন ও মো. সাইফুদ্দিন খানসহ অন্তত কমিটির ২০ সদস্য পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।