স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্রের মতামত জানতে চাইলে থমাস টমি পিগোট এসব কথা বলেন।
পিগোট বলেন, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নেতাকর্মী ও দলের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি।’
বাংলাদেশে কোনো একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না বলেও জানান থমাস টমি পিগোট।
পিগোট আরও বলেন, বাংলাদেশসহ সব দেশকে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানাই।
অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে থমাস টমি পিগোট বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দেই। এই অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এদিকে, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ নিষেধাজ্ঞা অপরিহার্য।
শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে আওয়ামী লীগ বিগত ১৫ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক পরিসরকে সংকুচিত করেছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’
আওয়ামী লীগের সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সৃষ্ট ক্ষত এখনো তাজা বলে মন্তব্য করেছেন শফিকুল আলম।