ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে, এটাই প্রত্যাশা। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্লকেড চালু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, জুলাই বিরোধী, গণতন্ত্র বিরোধী, ইসলাম বিরোধী, নারী বিরোধী, মানবতাবিরোধী, ফ্যাসিস্ট-সন্ত্রাসী ও মুজিববাদী সংগঠন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণে বাংলাদেশপন্থি সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ হই।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে লাগাতার বিক্ষোভ করেন। এরপর আজ শুক্রবার বিকেলে যমুনার পাশের পানির ফোয়ারার সামনে গণজমায়েত শেষে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিক থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন তারা। অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি ও বাংলামোটরগামী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।