দেশে আরও কমপক্ষে দুজনের শরীরে নাইজেরিয়ায় শনাক্ত করোনার ধরন ইটা পাওয়া গেছে। তাদের একজন ঢাকার বাসিন্দা (৩২) এবং অন্যজন সিলেটের বাসিন্দা (৩১)।
করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএইআইডি) সর্বশেষ তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের মধ্যে করোনার ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে। করোনার আলফা ধরন শনাক্ত হয়েছে ৮৪ জনের মধ্যে। বিটা ধরন শনাক্ত হয়েছে ২৭ জনের মধ্যে। বাংলাদেশে ইটা ধরন মিলেছে ১৫ জনের মধ্যে এবং করোনার গামা ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে একজন ব্যক্তির মধ্যে।
মঙ্গলবার (০৮ জুন) জিআইএসএইআইডি’র ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পাঁচটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এগুলো হলো— যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার যুক্তরাজ্যের ধরনকে আলফা, ব্রাজিলের ধরনকে গামা, ভারতীয় ধরনকে ডেল্টা, দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনকে বিটা এবং নাইজেরিয়ার ধরনকে ইটা নামকরণ করা হয়েছে।
নতুন করে পাওয়া করোনার ইটা ধরনটির গবেষণায় এই দুই ব্যক্তির নমুনা বিশ্লেষণ করেছে বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন। করোনাভাইরাসের ইটা ধরনের নাম বি.১.৫২৫, যা নাইজেরিয়ার ধরন বলে পরিচিত। গত বছরের ডিসেম্বরে করোনার এই ধরনটি প্রথম নাইজেরিয়াতে শনাক্ত হয়। এরপর তা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে করোনার ইটা ধরন ৬০টি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার এই ধরনটির ঝুঁকি নিয়ে তারা গবেষণা করছেন। এটাকে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণে (ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন) রেখেছেন। তবে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা করোনার ইটা ধরনটির মধ্যে ‘তাৎপর্যপূর্ণ রূপান্তর’ (সিগনিফিকেন্ট মিউটেশন) পেয়েছেন।