গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পল্লী চিকিৎসক অপহরণের দুদিন পরেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে অপহরণকারীরা এ পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ বার ফোন দিয়ে অপহৃত তরিকুলের ছোট ভাই হিরুর কাছ থেকে টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার রাতে এ ঘটনায় ওই পল্লী চিকিৎসকের ছোট ভাই হিরু মিয়া সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার।
এর আগে, গত শুক্রবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের হাতি চামটার ব্রিজ এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। মোবাইল ফোনে ধারণ করা ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তা থেকে তরিকুলকে জোরপূর্বক একটি অটোভ্যানে তুলে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন। এ সময় রাস্তায় স্থানীয় লোক ছাড়াও পুলিশের পোশাক ও মাথায় হেলমেট পড়া একজনকে দেখা যায়।
অপহরণের শিকার তরিকুলের ভাই হিরু মিয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে দক্ষিণ সন্তোলা গ্রামের সুমন মিয়া ও চাঁদকরিম গ্রামের মিলন মিয়ার নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন মিলে তরিকুলকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও তরিকুলকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।
হিরু মিয়া আরও বলেন, ঘটনার সময় পুলিশের পোশাক ও হেলমেট পড়া একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সুজন মিয়া নামে ওই পুলিশ সদস্য সাদুল্লাপুর থানার উপপরির্দশক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তার অভিযোগ, অপহরণকারীদের সাথে ওই পুলিশ সদস্য জড়িত ছিলেন। এ সময় দ্রুত তরিকুলকে উদ্ধারসহ জড়িতের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, অপহরণের ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। অপহরণের শিকার তরিকুল ইসলামকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যের উপস্থিতির বিষয়ে ওসি বলেন, ডিউটি করে ফেরার সময় ঘটনা দেখে হয়তো একজন সদস্য দাঁড়িয়েছিলেন।
তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।