এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করতে করের হার অনেক কমিয়েছি। সবার কাছ থেকে যেহেতু কর আদায় করতে পারি না, আবার কর ফাঁকিও যেহেতু হয়, তাই যখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই কমপ্লায়েন্ট করদাতারা তখন অভিযোগ করেন।
এদিকে তিনি প্রসংশা করে বলেন, খারাপ সময়েও রাজস্ব গ্রোথ ভালো, এপ্রিলে আরও ভালো হবে।
অটোমেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্ডের ক্ষেত্রে পুরোপুরি অটোমেশন করতে পেরেছি৷ সেন্ট্রাল বন্ডেড হাউজে নানান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সিঙ্গেল উইন্ডোতে অটোমেশন করছি। এগুলো হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে।
আগামী বাজেট প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে একটা সিগন্যাল পাবেন। আমরা একটু সহনীয় করার চেষ্টা করছি। কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেবো।
দেশের অর্থনীতির জন্য সরকারি তহবিল থেকে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা দরকার সে তুলনায় রাজস্ব আদায় না হওয়ার কারণে অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয় না। আগেও আমাদের সেই পরিমাণ পুঁজি ছিল না। আমাদের রাজস্ব এতো কম আর ব্যয় এতো বেশি যে বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে দেশে অর্থায়ন করতে হয়েছে’- যোগ করেন তিনি। এসময় কর আহরণ ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাইলাইজেন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করেন এম মাশরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতির গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে সেমিনারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের করনীতি এবং এর বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) নির্বাহী পরিচালক নুরুল কবীর।