সত্যিকারে প্রেম সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিতে সক্ষম। তারই প্রমাণ করতে প্রেমের টানে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের যুবকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন জনস্ জিইনাবচন নামে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী। শনিবার (৫ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের রালদিয়া গ্রামের প্রধানিয়া বাড়িতে আমেরিকান মেয়ে জিইনাবচনের সঙ্গে মো. কামাল উদ্দিন প্রধানিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ওইদিন দুপুরে আশিকাটির রালদিয়া নিজ বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে শাহাদাত হোসেন আমেরিকার নাগরিক প্রেমিকা জনস্ জিইনাবচনকে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। শাহাদাতের স্বজনরা জানান, তার ছোট ভাই আবু জাফর সংযুক্ত আরব আমিরাত থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আমেরিকান কন্যা ফাতেমা মোহাম্মদ মুসার সঙ্গে। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তিনি আমেরিকা চলে যান। এরই সূত্র ধরে আবু জাফরের স্ত্রীর বান্ধবী জনস্ জিইনাবচন-এর সঙ্গে মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় শাহাদাতাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা বিয়ের পরিকল্পনা করে সম্প্রতি বাংলাদেশে আসেন। এরপর গ্রামের বাড়িতে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
আমেরিকান তরুণীর গ্রামে আগমন ও বিয়ের সংবাদ জানতে পেরে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে বহু উৎসুক জনতা নবদম্পতিদের দেখতে ওই বাড়িতে ছুটে এসে ভিড় করছেন। নববধূ জনস্ জিইনাবচন বলেন, আমাদের ভালোবাসা বহু বছরের। আমরা বিবাহ বন্ধনে জড়িয়েছি। আমাদের আগামী দিনগুলো যেন সুখের হয়, এজন্য আমাদের দোয়া করবেন।
মার্কিন তরুণীর স্বামী শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি আমেরিকার নাগরিক, জোনস্ জিউনাবচনও আমেরিকার নাগরিক। আমরা ইসলামি শরিয়া মোতাবেক দেশের প্রচলিত আইনে সঠিকভাবে বিয়ে করেছি। বিয়ে অনুষ্ঠানে আমার আত্মীয়-স্বজন সবাই ছিলেন। করোনা মহামারির কারণে নিজ বাড়িতে সীমিত পরিসরে নিকট আত্মীয়দের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মার্কিন একজন নারীর সঙ্গে এমন বিয়ের আয়োজন করার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো উচিত ছিল। তবে বিষয়টি পুলিশ কিংবা প্রশাসন মোটেও জানে না। তারপরও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের যদি কিছু করণীয় থাকে আমরা তা করব।