সাংবাদিকের চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধের খবরে সমালোচনার মুখে পড়েন অন্তবর্তী সরকার। এ বিষয় গতকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এক পোস্টে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, তাদের চাকরীর ব্যাপারে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা নাই।
তিনি যোগ করেন, ‘ঘটনা থেকে মাত্র আট মাস দূরে দাঁড়িয়ে আমরা, খুনীর বিচার হয়নি এখনও। পশ্চিমে বিচার হওয়ার পরেও এখনও ‘হলোকাস্ট ডিনায়াল’ মানুষের বুকে লাগে। আর কালকে যখন প্রশ্ন করা হলো, একজন খুনীকে খুনী বলা যাবে কি না- এই প্রশ্ন জনতার জুলাইকে বেমালুম নাই করে দেওয়ার একটা চেষ্টা হিসাবেই দেখেছে সবাই। প্রেস কনফারেন্সে তাদের কথাগুলো আমাকে বিস্মিত করলেও ধৈর্য নিয়ে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
সাংবাদিকদের চাকরীচ্যুত এবং টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ করায় নিন্দার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই সরকারের কড়া সমালোচনা করছেন। চোখ এড়ায়নি উপদেষ্টার। তার কথায়, ‘অনলাইনে (সোশ্যাল মিডিয়া) দেখেছি কেউ কেউ একটা কথা বলার চেষ্টা করছেন, আমাকে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের চাকরী গেছে। হাস্যকর কথা। বিষয়টা যে আমি না, বিষয়টা যে জুলাই এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পলিসির ব্যাপার- এটাও তারা বুঝতে পারছেন না।’
সবশেষ তিনি বলেন, ‘সবার উদ্দেশ্যে ফর দ্য রেকর্ড বলে রাখছি, তাদের (সাংবাদিক) চাকরীর ব্যাপারে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা নাই। এই বিষয়ে সংশয় থাকলে ওই চ্যানেলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সবাই সত্য জানতে পারবেন। অনুমানে দুইয়ে দুইয়ে চার না মেলানোই ভালো।’
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেনি সরকার।