দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি ভারতীয় নাগরিকদের ভিসা স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর এএফপির।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া পাকিস্তান ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সিন্ধু পানি চুক্তি বন্ধ বা অন্য তা অন্যদিকে প্রবাহিত করার যে কোনো প্রচেষ্টা ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’। জাতীয় ক্ষমতার পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’

একই সঙ্গে ভারতের সাথে সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত রেখে তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াগাহ সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ‘বিনা ভিসা প্রকল্পের’ আওতায় দেওয়া সব ভিসা স্থগিত করেছে দেশটি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনে কূটনীতিকদের সংখ্যা ৩০ জনে কমিয়ে আনা হবে। এছাড়া ভারতীয় প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ৩০ এপ্রিলের আগে পাকিস্তান ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় মালিকানাধীন বা ভারতীয়দের দ্বারা পরিচালিত বিমান সংস্থাগুলোর জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা হয়। অস্ত্রধারীরা জঙ্গল থেকে বের হয়ে পর্যটকদের ওপর গুলি চালাতে থাকেন। হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। বার্তা সংস্থা এএফপি ও এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা জানিয়েছে অন্তত ২৬ জন।
এ ঘটনায় পাকিস্তানের ওপর হামলার অভিযোগ এনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দেশটির মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির জরুরি বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তগুলো হলো— সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা। আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া। সার্ক ভিসা এক্সেম্পশন স্কিম (এসভিইএস) এর আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণ নিষিদ্ধ ঘোষণা। নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামরিক, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা এবং হাইকমিশনের সামগ্রিক লোকবল ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনা।