আসিফ মাহমুদ জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক তাঁর বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্স সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি বাবা থেকে জেনে নিশ্চিত হন এবং সাংবাদিককে জানান যে, এটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে ইস্যু করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়।
পোস্টে আসিফ লেখেন, “আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় এক ঠিকাদারের অনুরোধে বাবার পরিচয় ব্যবহার করে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনি জেলা পর্যায় থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেন।”
তবে আসিফ মাহমুদ স্বীকার করেন, একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত হওয়া ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ তৈরি করে। বিষয়টি বোঝার পর তাঁর বাবা নিজেই লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করেন এবং সেটি তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়।
আসিফ আরও বলেন, “বাবা সম্ভবত স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়টি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি। এজন্য আমি বাবার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।” তিনি জানান, উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।
ঘটনার সূত্রপাত কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী জুলকারনাইন সায়ের একটি পোস্ট থেকে, যেখানে তিনি দাবি করেন, আসিফ মাহমুদের বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে তিনি নিজে উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং উপদেষ্টা প্রথমে কিছু না জানার কথা বললেও পরে স্বীকার করেন বিষয়টি তাঁর অজান্তে ঘটেছে।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। তবে আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যাখ্যায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, ভবিষ্যতে এমন কিছু যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে তিনি সতর্ক থাকবেন।