প্রিমিয়ার লিগে সরাসরি খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে জিততেই হতো শেফিল্ড ইউনাইটেডকে। কিন্তু এই ম্যাচে সেরাটা দিতে পারেনি হামজারা। তাই শেফিল্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের আগামী মৌসুমে খেলা নিশ্চিত করেছে বার্নলি।
সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে টার্ফ মুর স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে ওঠার আনন্দে দিশাহারা হয়ে মাঠে নেমে পড়েন অনেক স্বাগতিক সমর্থক। বার্নলির খেলোয়াড়েরাও এই উদযাপনে যোগ দেন। এমন সময় শেফিল্ড ইউনাইটেডের বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে ঘিরে মাঠে তৈরি হয় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি।
টিভি পর্দায় দেখা গেছে, প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়ছিলেন হামজা। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা এ সময় তাকে নিয়ে যান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মাঠে নেমে পড়া দর্শকদের আপত্তিকর আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হামজা। স্টেডিয়ামের টানেলে যাওয়ার পথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এবার কিউবা মিচেলকেও রাজি করাল বাফুফে
২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে সামলাতে বেগ পেতে হয়েছে নিরাপত্তাকর্মীদের। বার্নলির খেলোয়াড় ও সমর্থকদের দিকে তেড়ে গিয়েছেন হামজা। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত, তা এখনো জানা যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’ জানিয়েছে, বার্নলির এক সমর্থক তার মুখের ওপর উদযাপন করে আরও খেপিয়ে তোলেন।
স্কাই স্পোর্টসের ক্যামেরায় দেখা গেছে, নিরাপত্তাকর্মীরা এ সময় সামলে রাখার চেষ্টা করছিলেন হামজাকে। ক্রোধে দিশাহারা হামজা নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা ভেঙে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একজন স্টাফ সদস্য এ সময় তাকে অনেকটা জোর করেই টানেলের ভেতর নিয়ে যান।
এ বিষয়ে শেফিল্ড ইউনাইটেডের কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার স্কাই স্পোর্টসকে বলেছেন, তেমন কিছুই না। একটি বড় জয় তারা মাঠে নেমে উদযাপন করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমর্থকেরা টানেলের পাশেই গ্যালারিতে বসেছিল। ফলে সবাই এতে (ঝামেলা) জড়িয়ে পড়েছে।
বার্নলির বিপক্ষে হামজাকে পুরো সময়ই খেলান শেফিল্ড কোচ। ২৮ মিনিটে বার্নলি এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৭ মিনিটে টম ক্যাননের গোলে সমতায় ফেরে শেফিল্ড। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে আবারও এগিয়ে যায় বার্নলি। ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেন জশ ব্রাউনহিল।
ম্যাচ হারলেও এখনও প্রিমিয়ার লিগে ওঠার সুযোগ আছে হামজাদের। সে জন্য নকআউট প্লে–অফে দুটি ম্যাচ জিততে হবে শেফিল্ডকে। এ দুই ম্যাচে শেফিল্ডের প্রতিপক্ষ কোন দল, তা এখনও ঠিক হয়নি।