বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন টিনশেডের দুটি কক্ষে মেঝে জুড়ে আলু রাখা হয়েছে। স্কুলের বারান্দাতেও রাখা রয়েছে বস্তাভর্তি আলু। শ্রেণিকক্ষের বসার ব্রেঞ্চগুলো একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে, ফলে শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোষ।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের ছুটির সময়ে তোফাজ্জল হোসেন শাহ নামের এক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আলু সংরক্ষণ করেন। ঈদের ছুটি শেষে স্কুল খোলার পরও তিনি আলুগুলো না সরানোয় নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বসতে না পেরে বাধ্য হয়ে ক্লাস না করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
স্কুল শিক্ষার্থী রাকিব ইসলাম বলেন, আমরা স্কুলে আসি কিন্তু ক্লাস হয় না। ক্লাস রুমে আলু রাখার কারণে আমরা ক্লাস করতে পারছি না। হাজিরা দিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, কার অনুমতিতে স্কুলের শ্রেণিক্ষকে আলু রাখা হলো এটা তদন্ত করলে বুঝতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস হচ্ছে না ঘুরে চলে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক তো কিছুই বলে না আমাদের কি করার।
এবিষয়ে অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন আলী বলেন, স্কুল বন্ধের সময় তিনি শ্রেণিকক্ষে আলু রেখেছেন। তাকে একাধিকবার অনুরোধ করলেও আলু সরাননি। পুনরায় অনুরোধ করব। তাতেও কাজ না হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।
খানসামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনজুরুল হক বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যেই আলু অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।