নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের আকাশে নতুন করে মেঘের আবির্ভাব হয়েছে। যেভাবে দেশের বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মতপার্থক্য প্রকাশিত হয়েছে, এটা আমাদের সবার জন্য দুশ্চিন্তার।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ কর্তৃক ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা চাই, বাংলাদেশের যত বড় কঠিন কাজই হোক, সেই কাজ নিজেদের মধ্যে কথা বলে, আলোচনা করে সমাধানের দিকে যেতে। আমরা চাই বাংলাদেশের কোটি কোটি জনতা একসঙ্গে থাকুক, যাতে আমরা আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখতে পারি। মেহনতী জনতার পক্ষে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
ফিলিস্তিনে গণহত্যা বিষয়ে তিনি বলেন, গাজার এইবারের ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, এত বড় অমানবিকতা সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। আমি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই, যারা দেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ইসরায়েল নির্মমভাবে শিশুদের হত্যা করেছে। হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সমাজের এমন কোনো অংশ নেই যেখানে তারা হত্যা করেনি। হাসপাতাল, শরনার্থী শিবির আক্রান্ত হয়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ ইসরায়েল এবং নেতানিয়াহু চক্রকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। গণহত্যার অভিযোগে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক আদালতে সোপর্দ করার ব্যবস্থা করা হয়নি। আমরা আজকের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, সন্ত্রাসী ইসরায়েলের সামরিক চক্র, গণহত্যায় অভিযুক্ত নেতানিয়াহু চক্রসহ যারা প্রত্যক্ষভাবে এই গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত, তাদের গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
সাইফুল হক বলেন, আমরা নেতানিয়াহুসহ জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও অভিযুক্ত করছি এই গণহত্যার প্রত্যক্ষ মদদদানকারী হিসেবে। তাদের ভন্ডামির সারা পৃথিবীর মানুষ জেনে গেছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।