বিএনপি এদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের নামে নির্বাচনের কফিনে বারবার গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়েছিল। শনিবার (৫ জুন) সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিল? সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল সেনা শাসক জিয়া। তার আগে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের নামে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।
বিএনপি নেতাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তীর ছুঁড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি? তিনি বলেন, বিএনপি নাকি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, কর্মীরা প্রাণ দিচ্ছে। সর্বশেষ জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি দেশবাসী দেখেছে! এভাবেই কী তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছিল। বিএনপি অতীত ভুলে গেলেও দেশের মানুষ ঠিকই মনে রেখেছে। বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু। ক্ষমতা ফিরে পেতে তাই তারা মরিয়া হয়ে আছে। আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ত্যাগের, এজন্যই জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল।
এর আগে কাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। শেখ হাসিনা সরকারকে পরিবেশ বান্ধব সরকার দাবি করে তিনি বলেন, পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সরকার নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে রাজনৈতিক পরিবেশও নষ্ট হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকার আগামী ৫ বছরে দেশের ২২ থেকে ২৪ ভাগ অঞ্চল গাছপালায় আচ্ছাদিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার দেশব্যাপী তিন কোটি গাছের চারা রোপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীর জানার সুযোগ হলো, বাংলাদেশের জনগণ প্রকৃতির প্রতিকূলতার মধ্যে শুধু টিকে থাকতে জানে না বরং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো দক্ষভাবে মোকাবিলা করার সুদূরপ্রসারী কর্মকৌশলও নিতে পারে।
বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকেই।