দেশে এ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড নিয়েছেন ১ কোটি ২৯ হাজার ৩৪৮ জন মানুষ। এদের মধ্যে পুরুষ ৬২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৭ এবং নারী ৩৭ লাখ ৩০ হাজার ৫৬১ জন। মোট যতজন টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩৩৩ জন দুই ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন একটি ডোজ নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে গতকাল দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৩ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮০১ জনে।
এরই মধ্যে ২৫ মে থেকে দেশে চীনের সিনোফার্মার টিকার পর্যবেক্ষণমূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত এ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ১৪২ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫৭০ জন পুরুষ এবং ৫৭২ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬ হাজার ১৯৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেয়া হয়। পরদিন রাজধানীর ৫টি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।