মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘জেনারেল ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। চলতি বছরে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আলোচনা করেছিল। তবে কোনো বাংলাদেশি এর আগে একাধিকবার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার নজির না থাকায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে।’
২০২৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ), সংস্কৃতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (পপসম্রাট), শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর (বদরুদ্দীন উমর) এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
২০১৯ সালের অক্টোবরে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে নিহত হন আবরার ফাহাদ। এই সাতজনের মধ্যে বদরুদ্দীন উমর ছাড়া বাকি ছয়জনই মরণোত্তর এই পুরস্কার পাচ্ছেন।