মূলত এর পর থেকেই প্রধান পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বেজায় চটেছে ইসরায়েল। ইহুদিবাদী দেশটির গণমাধ্যমে হামাসের সঙ্গে দোহায় ট্রাম্পের জিম্মি বিষয়ক দূতের সরাসরি আলোচনার কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে।
তবে, ইসরায়েলের মুখের ওপর এর কঠোর জবাব দিয়েছেন আমেরিকান জিম্মি দূত অ্যাডাম বোহলার। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এজেন্ট না। আমরা আমাদের নাগরিকদের স্বার্থে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি। এ জন্য আমরা ইসরায়েলের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নই। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
তিনি আরো বলেন, গত সপ্তাহে দোহায় যুক্তরাষ্ট্র ও হামাসের মধ্যে চারটি সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা একজন জীবিত মার্কিন সেনা ও চারটি মৃতদেহ হস্তান্তরের জন্য একটি পৃথক (আংশিক) চুক্তির অনুরোধ করেন। হামাস ওই আংশিক চুক্তিতে সম্মত হয়ে এবং এর বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি এক গণমাধ্যমকে রোববার দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন দূত অ্যাডাম বোহলার বলেছেন, হামাসের সঙ্গে আমাদের আলোচনাকে ইসরায়েল যেভাবে তীব্র সমালোচনা করছে, তাতে আমরা খুবই বিরক্ত। আমেরিকা ‘ইসরায়েলের এজেন্ট নয়’।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস- হামাস শেষ পর্যন্ত তাদের অস্ত্র ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ত্যাগ করবে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য চুক্তি করবে।
বোহলারের কিছু মন্তব্য ঊর্ধ্বতন ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের আরো সংক্ষুদ্ধ করেছে, অনেকে টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন যে, তারা মার্কিন দূতের মন্তব্য শুনে অবাক হয়েছেন।
কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ আলোচনার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয়েছে সরাসরি মার্কিন-হামাস আলোচনা। গাজায় এখনো জিম্মি করে রাখা আমেরিকান জিম্মিদের মুক্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন মার্কিন দূত।
বোহলার ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ -কে বলেন, হামাসের সঙ্গে তার বৈঠক কখন শুরু হয়েছিল বা কতজন অংশ নিয়ে ছিলেন তা নির্দিষ্ট করে আমি বলতে রাজি না।
তার বৈঠকে একমাত্র জীবিত আমেরিকান জিম্মি এডান আলেকজান্ডার এবং চারজন নিহত আমেরিকান জিম্মির মৃতদেহের উপর আলোকপাত করা হলেও, বোহেলার জোর দিয়ে বলেন যে, আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল সব জিম্মির মুক্তির জন্যই একটি বৃহত্তর চুক্তি করা।
ইসরায়েলি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার ভয় পাওয়ার দরকার নেই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট, আমি, অথবা আমাদের প্রশাসনের কেউ আপনাকে ভুলে যায়নি।