আজ (১০ মার্চ) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে, এবং এসব দলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে আমরা আলোচনা শুরু করব।’
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, কমিশন স্বল্প সময়ে জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করতে চায়। কমিশনের ছয় মাস মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ড. আলী রীয়াজ জানান, ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে ১৬৬টি সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সংবিধান সংশোধন সম্পর্কিত ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসন বিষয়ে ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কিত ২০টি সুপারিশ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী নির্বাচনের চেয়ে রাষ্ট্র সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে, রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন সম্পর্কে কোনো বিভেদ বা সম্পর্ক নেই।’
এছাড়া, তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ভবিষ্যতের পথনকশা তৈরি করতে চায়, যা দেশের রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ভূমিকা রাখবে।’
এদিনের সংবাদ সম্মেলনে ড. আলী রীয়াজ সরকার কর্তৃক গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, এই কমিশন তার কাজ শুরু করেছে।