রোববার (৯ মার্চ) বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নাহার আয়েশা এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রাশেদ (২৩), মো. কায়ছার (২২), মো. ওমর ফারুক (১৮) ও মো. হানিফ (২৪)। এদের মধ্যে কায়ছার কারাগারে থাকলেও অন্য তিনজন এখনো পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনে রং নম্বরে কলের সূত্রে মামলার ১নং আসামি রাশেদের সাথে পরিচয় হয় ডুলহাজারা মারুফিয়া মাদরাসায় অধ্যয়নরত এক ছাত্রীর। দীর্ঘদিন মোবাইল ফোনে কথাবার্তায় তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাশেদ ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি মোবাইল ফোনে ওই মাদরাসাছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়ের প্রস্তাবে প্রেমের টানে পরের দিন সে চলে আশে আমিরাবাদে। ওই ছাত্রীর মোবাইলে কল করে মামলার ৩নং আসামি ওমর ফারুক জানান রাশেদ আসতে দেরি হবে, তাই তার সাথেই পদুয়া বাজারে যেতে হবে।পদুয়া বাজারে একটি খবার হোটেলে দেখা হয় ভিকটিমের সাথে রাশেদের। পদুয়া বাজারে আসেন মামলার ২নং আসামি কায়সার ও ৪নং আসামি হানিফ।
পরে একসাথেই একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওই ছাত্রীকে নিয়ে কাজি বাড়ির উদ্দেশ্যে তারা রওনা হন। পরে অটোরিকশাটি বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেনপং ম্রো এর খামারের পশ্চিমের বনবিভাগের রিজার্ভ পাহাড়ের ঢালে আনা হয়। সেখানে ওই ছাত্রীকে রাশেদ ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা মেয়েটির চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার ও রাশেদসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।