ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকটা এরকম বিপদেই পরেছেন জেলেনস্কি। টানা তিন বছর ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। আর এসবের জন্য উল্টো এখন জেলেনস্কিকেই দায়ী করছেন ট্রাম্প।
রুশ আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর আনাদোলুর।
আর এরপরই ইউক্রেনে দেওয়া মার্কিন সহায়তার প্রকৃতি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে টানাপোড়েন। এমন অবস্থায় ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়ার মার্কিন সহায়তা ছিল অনুদান।
তার দাবি, ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়েছে, ঋণ নয়। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা অনুদান হিসাবে প্রদান করা হয়েছিল, ঋণ নয় বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার বলেছেন।
পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৫০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তাকে ঋণ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত, ট্রাম্পের এমন দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধের সময় ওয়াশিংটন কিয়েভকে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে বলে জেলেনস্কি একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, তাদের এমন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে যা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন উভয়ের জন্যই “লাভজনক” এবং উভয় পক্ষের জন্য “সুখকর” হবে।
জেলেনস্কি বলেন, যদি এটি একেবারেই প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি তার পদটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং সেটি হলে তা তিনি কেবল ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদের বিনিময়েই করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে “স্বৈরশাসক” বলে অভিহিত করায় তিনি ক্ষুব্ধ হননি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন চিরকালের জন্য ক্ষমতায় থাকবে না, তবে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী শান্তি দরকার।