স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিশেষ করে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এ বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। এর আগে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং মামলা-মোকদ্দমাও হয়। শনিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কয়েকজন স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন বলেন, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী ঢাকা পোস্টকে জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।