সেটারই নতুন নজির গতকাল তিনি দেখেছেন বার্নাব্যুর সবুজ গালিচায়। এক কিলিয়ান এমবাপেকে থামানোর পর্যাপ্ত রসদই যোগাড় করতে পারেননি স্প্যানিশ এই কোচ। ফ্রেঞ্চ সেনসেশন এমবাপে পেয়েছেন হ্যাট্রিক। সিটির নিকো গঞ্জালেস ১ গোল করেছেন নয় আর তাতে বিধ্বস্ত এক মন নিয়েই ম্যানচেস্টারের ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে গার্দিওলা শিষ্যদের।
রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-১ গোলের এই হারের ফলে চলতি মৌসুমে ইউরোপিয়ান অধ্যায় শেষ ম্যানসিটির জন্য। বিপর্যয়ের ঘূর্ণিপাকে থাকা দলটার জন্য একদিক থেকে এই হারটাই স্বস্তির। ইংলিশ ফুটবলে এখন পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার সময় তার দলের।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচ শেষ হতে আক্ষরিক অর্থে সময় নিয়েছিল ৩৩ মিনিট। আগেই ১ গোলে পিছিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৩ মিনিটের মাঝে দুই গোল করে অ্যাগ্রিগেটের হিসেবে রিয়ালকে ৩ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান এমবাপে। সেখান থেকে ফিরে আসা অসম্ভবই ছিল এক অর্থে। হয়ওনি সেটা। ৩-১ গোলের হার এবং ৬-৩ অ্যাগ্রিগেট ফলাফল শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় নিজেদের অর্ধ থেকে রাউল অ্যাসেনসিও বল বাড়ান কিলিয়ান এমবাপের উদ্দেশ্যে। গোলটা তিনি করেছেন একেনারেই চিরচেনা ঢঙে। গায়ে গায়ে লেগে থাকা দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে এমবাপর মাপা এক চিপ। সিটি গোলরক্ষক এদেরসনের মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া বলটা রিয়ালকে এগিয়ে দেয় ১-০ গোলে।
খানিক পরেই সিটির বিপদ আরও বাড়িয়ে ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন জন স্টোনস। এটারই সুযোগ নিয়ে একের পর এক আক্রমণে সিটির নাভিশ্বাস তুলে ছাড়ে রিয়াল আক্রমণভাগ। যার ফল আসে ৩৩ মিনিটে। নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করে সিটির বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন এমবাপে।
বিরতির পরও ম্যাচের স্ক্রিপ্টে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ম্যানসিটির বিদায়টা তখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে এমবাপের জন্য ম্যাচটা ছিল বিশেষ কিছু। ফ্রেঞ্চ তারকার দুরন্ত ফর্মের ফল রিয়াল পায় ৬১ মিনিটে। নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন রিয়ালের নাম্বার নাইন।
শেষ দিকে সিটির নতুন সাইনিং নিকো গঞ্জালেস একটি গোল শোধ করেন। কিন্তু তা দিয়ে রিয়ালের বিপক্ষে স্কোরশিট সমৃদ্ধ করার বাইরে আর কিছুই করতে পারেনি ম্যানসিটি।