কারা সূত্রে জানা গেছে, কিছু সাবেক মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে— সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আ স ম ফিরোজ, মো. শাহ কামাল, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং এ কে এম শহীদুল হকসহ অনেকেই রয়েছেন। তাদের আবেদন মঞ্জুর করে সরকার এসব বন্দিকে ডিভিশন সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া, কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সাবেক মন্ত্রী, সিআইপি, এমপি বা সরকারি কর্মকর্তারা এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি আবেদন মঞ্জুর হয়, তাহলে সেই বন্দিকে আলাদা কক্ষে রাখা হয়, সেখানে প্রয়োজনীয় সুবিধা যেমন খাট, বিছানা, চেয়ার, টেবিল ইত্যাদি দেওয়া হয়। তাছাড়া, তাদের জন্য সহকারীও নিয়োগ করা হয়, যারা তাদের বিভিন্ন কাজ করতে সাহায্য করে। খাবারের মানও সাধারণ বন্দির তুলনায় ভালো থাকে।
সম্প্রতি, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান রিমান্ড শেষে আদালতে তোলার সময় হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় উপস্থিত হন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ছবি প্রকাশের পর নেটিজেনরা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন এবং এটি নিয়ে বিভিন্ন তুলনা ও আলোচনা উঠে আসে।
বিশেষত, অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী শাজাহান খানের হাস্যোজ্জ্বল অবস্থাকে হামাস ও ইসরায়েলের বন্দি বিনিময়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের মতে— ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যখন ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয়, তখন তারা সবসময় হাস্যোজ্জ্বল হয়ে ফিরে আসত। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিরা দুর্বল অবস্থায় ফিরে আসত এবং তাদের পক্ষে হাঁটতে সক্ষম হওয়া সম্ভব হতো না।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার পর, স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করেছেন। নেটিজেনরা এটি নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক শুরু করেছেন, এবং এমন প্রশ্ন উঠেছে—বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন কোথায় দাঁড়িয়ে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।