ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মণিপুর রাজ্যে চলমান অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করেছে। রাজ্যে গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পদত্যাগ করেন।
মণিপুরে গত ২১ মাসে জাতিগত সহিংসতায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, এবং সহিংসতার কারণে বহু বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন এবং রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লার কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে, ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার, তিনি রাজ্য বিধানসভায় সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন। ধারণা করা হচ্ছিল, বিজেপির আইনপ্রণেতারা অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করবেন, যার কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য বীরেন সিংকে দিল্লি তলব করা হয়। প্রায় ১৫ মিনিটের বৈঠকে তিনি বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) এর ১৪ জন বিধায়কসহ উপস্থিত ছিলেন। মণিপুরের ৬০ সদস্যের বিধানসভায় বীরেন সিংয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই বলে অনুমান করা হচ্ছিল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানান, তিনি মণিপুরে ফিরে পদত্যাগ করবেন।
ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মণিপুরের এই সময়কালকে রক্তক্ষয়ী ও অস্থিতিশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ভারতে সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদরা মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতিকে এক বিপর্যয়কর সময় হিসেবে বিবেচনা করছেন, যেখানে রাজ্যটির রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস