সৌদি আরবের জেল থেকে সাইদুল মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেও অপর ভাই মামুন এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের অভিযোগ করেন মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা নির্যাতিত সাইদুর রহমান গাজী। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমতলী উপজেলার লোচা গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে দালাল রুবেল হাওলাদার পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাইদুল গাজীর।
চার দিন পরে দালাল চক্রের আরেক সদস্য মনির এসে তাদের জেদ্দায় মরুভূমির মধ্যে একটি বন্ধ মুরগির ফার্মে নিয়ে যায়। ওই স্থানে তাদের ৫ মাস ১০ দিন আটকে রাখেন তারা। দালাল রুবেলের নির্দেশে চক্রের সদস্যরা তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। নির্যাতন সইতে না পেরে সাইদুল ও মামুন দু’ভাই পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। কিন্তু দালাল চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাননি তারা।
সাইদুলের অভিযোগ, দালাল রুবেলের নির্দেশে মনির তাদের আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। নিরুপায় হয়ে দেড় লাখ টাকা দেয় সাইদুলের পরিবার। এরপর দালাল রুবেল মেয়াদ উত্তীর্ণ আকামা দিয়ে দুই ভাইকে ছেড়ে দেয়। ওই আকামা নিয়ে পালিয়ে বেড়ায় তারা। এ ঘটনা নিয়ে দালাল রুবেলের সঙ্গে সাইদুলের কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন রুবেল। পরে দালাল রুবেল ও তার সহযোগীরা গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সৌদি পুলিশে সাইদুলকে ধরিয়ে দেয়। ১২ দিন কারাবাস শেষে গত বছর ২৭ ডিসেম্বর সৌদি পুলিশ তাকে মুক্তি দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
অপর দিকে সাইদুলের ফুফাতো ভাই মামুন হাওলাদার সৌদি আরবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পরিবারের কাছে তার কোনো হদিস নেই এমন অভিযোগ মামুনের বাবা মজিবুর রহমান হাওলাদারের। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাইদুল গাজী ও দালাল রুবেল হাওলাদারের মধ্যে এ নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে দালাল রুবেল হাওলাদার সাইদুল গাজীর বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে আমতলী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, সৌদি আরবে নির্যাতন ও মুক্তিপণের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মারধরের একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। ওই বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।