রাজ্যের কংগ্রেস দলীয় বিধায়ক বিরাজিত সিনহা এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনার আশ্বাস দেন তিনি।
বিরাজিত সিনহা বলেন, ‘‘রাজ্যের কৈলাশহরের বিপরীতে বাংলাদেশ সরকার একটি বিশাল বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে। অন্যদিকে, রাজ্যের রাঙ্গাওটি এলাকায় আমাদের ৪০ বছরের পুরোনো একটি বাঁধ আছে। আমাদের বেড়িবাঁধটি জরুরি ভিত্তিতে শক্তিশালী করা না হলে বন্যার সময় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’
রাজ্যের উনাকোটি জেলার বাসিন্দা ও মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, এই বাঁধ নির্মাণ একটি আন্তর্জাতিক বিষয় এবং জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমানার কয়েকটি অংশে এখনও গবাদি পশু চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে।
মানিক সাহা বলেন, ‘‘এটি একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। আমি ইতোমধ্যে দিল্লিতে বেড়িবাঁধ শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। আমি বিষয়টি আবারও কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরবো।’’
উনাকোটি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ডি কে চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তাদের অংশে একটি বাঁধ নির্মাণ করছে বলে তিনি তথ্য পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের পাশে বাঁধ নির্মাণ করা হলে বর্ষাকালে কৈলাশহর থেকে ভাটিতে (বাংলাদেশে) বন্যার পানি যেতে সমস্যা হবে।’’