সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর ৪টায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা তাদের বহিষ্কার আদেশ দেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলের অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে বাকৃবি প্রশাসন সর্বদা বদ্ধপরিকর এবং আমরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা ১১ জানুয়ারি রাতে নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিং করেছে, যার ফলে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হল প্রভোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরো ব্যবস্থা নেবে।’
বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে আমরা ৫৩ জনকে শনাক্ত করেছি। তাদের মধ্যে যাদের হলে পাওয়া গেছে, প্রভোস্টের ক্ষমতাবলে ১ বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বোর্ড অফ রেসিডেন্স কমিটির কাছে প্রভোস্ট তাদের বিরুদ্ধে চিঠি পাঠাবেন এবং পরবর্তীতে প্রশাসন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
জানা গেছে, ১১ জানুয়ারি বাকৃবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে র্যাগিংয়ের ঘটনায় এক নবীন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই সময় হলের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা নবীনদের ওপর র্যাগিং করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।