বাংলাদেশ সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে তিনি মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়েছেন।
বিএনপি প্রধানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসকরা উনাকে দেখেছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, গত শুক্রবার থেকে উনার চিকিৎসায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। এভাবে আরও কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর উনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলার সময় আসবে।
তিনি আরও জানান, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমান, মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামায়লা রহমান, খালেদা জিয়ার তিন নাতনি হাসপাতালে সবসময় উনার দেখভাল করছেন। পারিবারিক আবহে থাকায় মানসিকভাবে ভালো থাকার একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানসিকভাবে উনি দেশের থাকার সময়ের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো আছেন, উৎফুল্ল আছেন– এটুকু বলতে পারি।
আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা-সংবলিত একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে কাতার হয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় ২টা ৫৫ মিনিটে ও স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষ হলে সেখান থেকে সরাসরি তাকে লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। ক্লিনিকে বিগত সময়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব রিপোর্ট পর্যালোচনার পর প্রফেসর কেনেডির অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়।