শনিবার কলকাতায় আমেরিকান সেন্টারে এক সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি।
মতবিনিময় সভায় এরিক গারসেটি জানান, গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অজিত দোভালের মধ্যে হয়েছে একটি বৈঠক হয়েছে এবং সে বৈঠকের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল বাংলাদেশ এবং সম্ভাব্য নির্বাচন।
“আমি নিজে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। আলোচনায়ও অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশ ইস্যুতে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল নির্বাচন। কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে এবং এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত কীভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে— এই নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।”
এছাড়া আলোচ্য সূচিতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ইস্যুটিও ছিল উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প— উভয়ই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আসলে আমরা সবাই বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল, উন্নয়নমুখী এবং সহনশীল দেশ হিসেবে দেখতে চাই।”
এদিকে শনিবার যেদিন এসব কথা বলেছেন ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত, তার এক দিন আগে শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জ্যাক সুলিভান বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনে যুক্তরাষ্ট্র ‘কলকাঠি নেড়েছে’ বলে যে গুঞ্জন চলছে— তা একেবারেই ‘অযৌক্তিক’ এবং ভারতের সরকারও এই গুঞ্জন বিশ্বাস করে না।
দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত বছর জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী-জনতার ব্যাপক আন্দোলনে পতন ঘটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের, দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন হাসিনা। এখনও সেখানেই আছেন তিনি।