জানা যায়, কেন্দ্র থেকে দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ করার সিদ্ধান্ত নিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা দেশজুড়ে কেন্দ্রঘোষিত সূচি মেনে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে পিরোজপুর শহরে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেট বিতরণ শেষে দুই পক্ষই শহরের টাউন ক্লাব মাঠে জড়ো হয়ে আলোচনা সভা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভায় পিরোজপুর জেলা শাখার কমিটি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পিরোজপুরে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহরিয়ার আমীন সাগর ও মুসাব্বির মাহমুদ সানি নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করলে তাদের মেনে নেননি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি গ্রুপ জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং অন্য একটি গ্রুপ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিরোজপুর ছাত্র প্রতিনিধি মুইন উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মুসাব্বির মাহমুদ সানি শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন না। আন্দোলনের শেষে তারা যোগ দিয়ে সংগঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এরপর সে আমাদের ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটি নিয়ে আসে এবং আজ আমাদের ওপর হামলা চালায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিরোজপুর ছাত্র প্রতিনিধি শাহনেওয়াজ অভি বলেন, মুসাব্বির মাহমুদ সানি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা যারা শুরু থেকে ছাত্র আন্দোলন করছি তাদেরকে নাগরিক কমিটিতে না রেখেই তারা নিজেরা মিলে এ কমিটি ঘোষণা করেছে। আজ তারা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে মাত্র ৪০০ লিফলেট আমাদের দেয়। বাকি লিফলেট তাদের কাছে রেখে দেয়।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে পিরোজপুর জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির ১নং সদস্য মুসাব্বির মাহমুদ সানি বলেন, তারা গুটিকয়েক লোক ছাত্র আন্দোলনের নামে আমাদের কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বলেন, লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।