মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার বয়ারচরের টাংকি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিন ডাকাতকে আটক করে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
ডাকতদলের হামলায় আহতরা হলেন, আবদুর রব ব্যাপারী (৫৫), মোতাহার মাঝি (৫০), নুর মোহাম্মদ (৩০), মোস্তু (৫০), মোস্তফা (৬৫), ইদ্রিস (৩৫), জামসেদ (৩২) ও আশরাফ (২৫)। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোতাহার মাঝি ও জামসেদ বলেন, কয়েক মাস যাবৎ বয়ারচরের বাসিন্দা, টাংকি ঘাট ও বাজারের ব্যবসায়ীদের চাঁদার জন্য চাপ দিতে থাকে ফরিদ বাহিনীর প্রধান ফরিদ ডাকাত। চাঁদা না দেওয়ায় তার বাহিনীর ডাকাতদল স্থানীয়দের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। মঙ্গলবার সকালে ফরিদ বাহিনীর প্রধান ফরিদ ডাকাত, কাশেম ডাকাত, খায়ের ডাকাত ও জীবনের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন টাংকি ঘাটের ব্যবসায়ী আবদুর রব ব্যাপারীকে কুপিয়ে জখম করে।
এসময় তাকে রক্ষা করতে যাওয়া আরও ৮/১০ জনকেও কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, টাংকি ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবাদমান দুই গ্রুপের বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে আজকে ঘাট এলাকায় আবদুর রব ব্যাপারী গেলে ফরিদের গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় চারজন আহত হয়েছেন। নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ফরিদ বাহিনীর প্রধান ফরিদ ও তার লোকজনদের গ্রেপ্তারের জন্য সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডসহ যৌথভাবে কাজ করছি। টাংকি বাজার পুলিশ ক্যাম্পটি চালুর বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ চেয়েছি। যেহেতু এই ক্যাম্পে পুলিশের থাকার ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। তাই আপাতত মোর্শেদ বাজার ও চেয়ারম্যান ঘাট ক্যাম্পে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিন ডাকাতকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। হামলায় আহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।