শেষ বয়সে এসে এটিএম শামসুজ্জামান ও প্রবীর মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের। যা মানতে পারতেন না তারা। ভেতরে অভিনয়ের ক্ষুধা কুড়ে খেত। তবে দুই অভিনেতাকে কেউ ডাকেননি সেসময়। ফলে শেষ অভিনয়ের ইচ্ছা পূরণ হয়নি কারও।
অন্যদিকে এটিএমের জীবদ্দশায় তার স্ত্রী রুনি জামান বলেছিলেন, ‘প্রায় তিন মাস ধরে তাঁর (এ টি এম শামসুজ্জামান) শারীরিক অবস্থা ভালো। এখন বাড়িতে বই পড়েই বেশির ভাগ সময় কাটে। তবে অভিনয়ের নেশা এখনো তাঁর মাথা থেকে যায়নি। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অভিনয় করতে চাচ্ছেন। কোনো নির্মাতা যদি বাসা থেকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে যান এবং যথেষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, তাহলে তিনি অভিনয় করবেন।’ কিন্তু কেউ কাজের জন্য ডাকেননি তাদের।
এটিএম, প্রবীর মিত্রের বন্ধুত্ব ছাত্রজীবন থেকে। একসঙ্গে অসংখ্যবার পর্দা ভাগ করেছেন তারা। ভেঙে পড়তে পারেন এমন আশঙ্কায় এটিএমের মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়নি প্রবীর মিত্রকে। সেদিন বাড়ির টেলিভিশনও ছিল বন্ধ।