রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতে কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনাচর এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে নবনির্মিত বাঁধের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এতে তলিয়ে গেছে চরের বিভিন্ন ফসল। এছাড়া হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ি ও রাস্তা। চরের মানুষ গাছ ও বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
বিনবিনা এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তিস্তার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি কিছুদিন আগে নির্মাণ করা হয়েছে। ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য এখন বাঁধের কাছে জিওব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগেই নবনির্মিত বাঁধটির অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে। ফলে বাদাম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল ও সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া বাঁধ রক্ষায় সামনে অপর একটি সাপোর্ট বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়েছিল, সেটিও ভেঙে গেছে। এতে নদীভাঙন ও পানিতে তলিয়ে যাওয়ার হুমকিতে পড়েছে বিনবিনা, বাঘেরহাট, শংকরদহ, পূর্ব ইচলিসহ কয়েকটি গ্রামের বাড়ি ও এস কে বাজারসংলগ্ন রংপুর-কাকিনা রোডের ব্রিজ এবং চর এলাকার রাস্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু জানান, তিস্তার ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বর্ষা আসার আগেই এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় চরবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সহিদ হোসেন জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপত্সীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধটি রক্ষায় পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হবে।